Jump to content

Draft:Institute of Islamic Thought and Research

From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
Mottoজ্ঞান ও সভ্যতার পুনর্জাগরণের জন্য
Establishedআগস্ট, ২০২০
Presidentআশিকুর রহমান সৈকত
Websitewww.iitrbd.org

ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট

জ্ঞান ও সভ্যতার পুনর্জাগরণের জন্য এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

[edit]
° ‘ইসলামী চিন্তায় মেথডোলোজি’, ‘ইসলামী জ্ঞানে উসূল’, ‘উসূল ও মাকাসিদ’, ‘মূল্যবোধ’, ‘আখলাক এবং নন্দনতত্ত্ব’, রাজনীতি ও অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এই সকল বিষয়ে গবেষণা করা, গবেষণাকৃত বিষয়সমূহকে সকলের মাঝে উপস্থাপন করা এবং উম্মাহর বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রেও পৌঁছে দেওয়া,
° মানুষ, সৃষ্টি ও জীবনের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গীর জ্ঞানকে সামগ্রিকভাবে দেখা এবং একে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা,
° জ্ঞানের ক্ষেত্রে ‘দ্বীনী’ ও ‘গাইরে দ্বীনী’ এমন কোনো বিভাজনে না যাওয়া,
° আকল ও ওহীকে পরস্পরের বিপরীতমুখী হিসেবে দাঁড় না করানো,
° ইসলামের জ্ঞানের উৎস সমূহকে পরস্পরের মুখোমুখী না করানো,
° তাজদীদ, ইহইয়া, ইসলাহ এবং ইনশার প্রচেষ্টাকে ইখতিলাফে পরিণত না করা,
° দ্বীনের শাশ্বত বিষয় সমূহের সাথে পরিবর্তনশীল বিষয় সমূহের, অভ্যাসের সাথে ইবাদতের এবং স্থানীয় বিষয়ের সাথে বিশ্বজনীন বিষয়কে মিশ্রিত না করা,
° দ্বীন-ইনসান, দ্বীন-দুনিয়া, দ্বীন-আকল, দ্বীন-বিজ্ঞান, দ্বীন-সংস্কৃতি ও দ্বীন-আখলাক এর বিষয় সমূহে যুগের ভাষায় তুলে ধরা এবং সর্বদায় আধুনিকায়ন করা,
° ইসলামী ধারার অভ্যন্তরীণ সামগ্রিকতাকে নতুন পদ্ধতিতে তুলে ধরা,
° ইসলামের দলীল সমূহ ও মূল্যবোধের সিস্টেমকে, দলীল ও মূল্যবোধের হায়ারার্কিকে এবং অগ্রাধিকারের ফিকহকে নতুন করে বিনির্মাণ করা।
° দ্বীনে মুবিন ইসলামের তাকলিফকে সমগ্র মানবতার জন্য অর্থবহভাবে তুলে ধরে অন্য ধর্মের ও বর্নের সকল মানুষের সাথে অভিন্ন একটি গ্রাউন্ডে কথা বলার মত ‘নতুন প্রস্তাবনা’ তৈরি করা।

মূলনীতি

[edit]

চিন্তার ক্ষেত্রে নবায়ন

ইসলামের উন্মেষের পর থেকে নিয়ে শত শত বছর চলে যাওয়ার পরেও দুইটি প্রশ্ন সব সময় করা হয়েছে এবং এই দুই প্রশ্নের জবাব নিয়ে মুসলিম উম্মাহ সবসময় ইখতিলাফ করে আসছে। প্রথমত, ওহী নাযিলের সময়কালের পরের নতুন নতুন অবস্থা ও ঘটনা সমূহের মোকাবেলায় কি করবে? দ্বিতীয়ত, ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং প্রাচীন সময়ের ইজতিহাদ ও ফতওয়া সমূহকে বর্তমান সময়ে কিভাবে মূল্যায়ন করবে এবং আমাদের গ্রন্থাগার সমূহকে পূর্ণকারী জ্ঞান ও হিকমাহ পূর্ণ অতীব মূল্যবান উৎস সমূহকে বর্তমান সময়ে কিভাবে পড়বে?

এই সকল প্রশ্নের জবাব হিসেবে তাজদিদ, ইহইয়া, ইসলাহ এবং ইনশা’ র প্রস্তাবনা সমূহ সব সময় উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু ভালো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা এই সকল প্রস্তাবনা কিংবা আহবান সমূহের প্রতিটিই সময়ের ব্যবধানে নিজেই একটি ইখতিলাফের কারণ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে একটি বিষয়ের প্রতি খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে, সেই বিষয়টি হল এই সকল পরিভাষা সমূহের কোনটারই দরকার ইসলামের নেই। কারণ ইসলাম তো কখনোই পুরাতনই হবে না যে তাকে নবায়ন করতে হবে, মৃত্যুবরণই তো করবে না যে তাকে ইহইয়া করতে হবে, নষ্টই তো হবে না যে তাকে ইসলাহ করতে হবে। আমাদের জীবন এবং আখলাককে বিনির্মাণের করার লক্ষ্যে পথ প্রদর্শক হিসেবে আগত ইসলামকে আমরা কিভাবে নতুন করে বিনির্মাণ করব? এটা তো আদৌতেও সম্ভবপরই নয়। এর পাশাপাশি আমরা যেন ভুলে না যাই যে, আমাদের চিন্তা সমূহের তাজদিদের, জ্ঞান সমূহের ইহইয়ার, পন্থা সমূহের ইসলাহর এবং আখলাকের নতুন করে বিনির্মাণ প্রয়োজন।

মূলত দ্বীনের, নসের এবং ইনসানের প্রকৃতি বুঝার ক্ষেত্রে ভিন্নতা এবং স্বাতন্ত্রতার দাবী করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মাহকে পরিগ্রহকারী দ্বীনের ব্যাপারে ভুল ধারণা এবং দ্বীনের ভুল ব্যাখ্যা সমূহ একক সঠিকতা এবং ‘আমি’ কেন্দ্রিক একটি ধারণার জন্ম দিয়েছে। তা’বিল (ব্যাখ্যা) এবং তানযিল (ওহী) কে মিশ্রিত করে ফেলা হচ্ছে। সমগ্র উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধকারী এবং ভ্রাতৃত্বকে গুরুত্ব প্রদানকারী চিন্তাধারা সমূহের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হচ্ছে।

অথচ স্বতন্ত্র চিন্তা করার, ভিন্ন সিধান্ত দেওয়ার, ওহী কিংবা ফিজিক্যাল দুনিয়ার বিভিন্ন ঘটনাকে ভিন্নভাবে বুঝে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। তবে এখানে প্রতিটি মু’মিনই যেন তার চিন্তা, আচরণ ও পছন্দের ক্ষেত্রে সঠিক একটি উসূলের অনুসরণ করে। সে যদি সঠিক একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজের চিন্তার মধ্যে ভারসাম্য ও সঙ্গতি রক্ষা করে চলতে পারে, তাহলে তার ভিন্ন ও স্বতন্ত্র চিন্তা করতে কোন সমস্যা নেই।

ফলশ্রুতিতে ঐতিহ্যগত চিন্তা ধারা সমূহকে যেভাবে ছিল সেভাবেই কিংবা একটু ভিন্ন রূপে চালিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে আমাদের সালাফদের উদ্ভাবনী (ইবদা) এবং বিনির্মাণ (ইনশা) এর ধারাকে নতুন করে জাগ্রত করার পাশাপাশি সেগুলোকে কার্যকরী করা দরকার। সবকিছুর পূর্বে এটা জানা থাকতে হবে যে, তাজদীদ মানে দ্বীনের নবায়ন নয় বরং তাজদীদ মানে হল চিন্তার নবায়ন । তাজদীদ এবং ইজতিহাদের মধ্যকার সম্পর্ককে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। এই সকল প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহের পাশাপাশি বিশেষ একটি ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং ইসলামী চিন্তাকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনাকারী ইন্টারডিসিপ্লিনারি মেথডোলজিক কার্যক্রম সমূহে প্রাধান্য দিবে এমন একটি ধারার বিকাশ সাধন প্রয়োজন।

জ্ঞানের ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণ

ইসলামের প্রথম শতাব্দীতে জ্ঞানের এক একটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশকারী ইসলামী জ্ঞান সমূহ; ইসলামকে বুঝার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী জ্ঞান হওয়ার দিক থেকে এই সকল জ্ঞানের ধারা সমূহকে ইসলামী জ্ঞান হিসেবে নামকরণ করা হয়। মাঝে মধ্যে দ্বীনী জ্ঞান নামটিও ব্যবহার করা হয়। ইসলামকে ফিকহ এবং শরীয়ত হিসেবে বুঝার পর থেকে শরয়ী জ্ঞানসমূহ, এবং মুসলমানগণ দর্শন, মানতিক ও আকলী জ্ঞান সমূহের সাথে পরিচিত হলে হওয়ার পরে সেই জ্ঞান সমূহকে আকলী জ্ঞান সমূহ নামে নামকরণ করে। আমাদের সমগ্র ইতিহাসকাল ধরে বিপরীত অর্থকে যেন ধারণ না করে এই অর্থে ইসলামী জ্ঞান সমূহকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয় যেমন উচ্চ (আলী) জ্ঞান সমূহ, সাহায্যকারী (আলাত) জ্ঞান সমূহ, প্রায়োগিক (আমলী) জ্ঞান সমূহ, তাত্ত্বিক (নাজারী) জ্ঞান সমূহ ইত্যাদি। এছাড়াও জ্ঞানের শ্রেণী বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রখ্যাত দার্শনিক ও আলেম আল-কিন্দির শ্রেণীবিন্যাসও খুবই প্রণিধানযোগ্য। তার মতে, মানুষের গবেষণালব্দ জ্ঞান সমূহ দ্বীন নিজে নয়, এটা দ্বীনের একটি ব্যাখ্যা মাত্র। এই বিষয়কে সামনে রেখে তিনি মানুষের গবেষণালব্দ জ্ঞানকে ইনসানী জ্ঞান নামে অভিহিত করেছেন।

ইসলামী জ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে জ্ঞান নামক পরিভাষাটি, একটি মেথডোলজির অধিকারী সিস্টেম্যাটিকভাবে জ্ঞানের সামগ্রিক দিক হিসেবে উদ্ভাবিত হয়েছে।

ইসলামের প্রথম শতাব্দীকাল থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট একটি সিস্টেমে, মেথডোলজিতে, এবং ডিসিপ্লিনে পরিণত হওয়া ইসলামী জ্ঞান সমূহের মধ্যে কোন জ্ঞানটি সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র একটি জ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই বিষয়ে মতানৈক্য। কেউ কেউ বলে থাকেন যে, ইলমুল হাদীসের সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আবার কেউ কেউ বলে থাকেন যে, সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ইলমুত তাফসীরের। আমাদের মতে জ্ঞানের এই সকল ধারা সমূহের আত্মপ্রকাশ প্রায় একই সময়ে ঘটেছে। একটিকে অপরটির উপর প্রাধান্য দেওয়া মোটেইও সঠিক নয়।

জ্ঞান ও বিজ্ঞান এই বিতর্কের বিষয়ে আসলে, বিজ্ঞান বলতে যদি একটি মেথডোলজির অধিকারী হওয়া বুঝায় তাহলে ইসলামী জ্ঞান সমূহকেও বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করা যায়। ইসলামী জ্ঞান সমূহের যে ধারা ও পদ্ধতি তা বিজ্ঞান হওয়ার জন্য উপযোগী। কিন্তু বিজ্ঞান বলতে যদি নতুন সময়ে আবিষ্কৃত হওয়া জ্ঞানকে বুঝায় তাহলে ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ বিপরীত । অন্য কথায় বলতে গেলে ইসলামী জ্ঞান সমূহ, একটি মেথডোলজির অধিকারী হওয়ার দিক থেকে বিজ্ঞান কিন্তু নতুন সময়ে বিজ্ঞান বলতে যা বুঝায় সেই অর্থে বিজ্ঞান নয়।

নতুন সময়ের বিঘ্নতা সৃষ্টিকারী প্রভাব ইসলামী জ্ঞান সমূহের ক্ষেত্রেও নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে। অতীতে যে জ্ঞান ইসলামকে বুঝার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছিল সেই ইসলামী জ্ঞান আজ অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে। জ্ঞানকে ইসলামী ও গাইরে-ইসলামী নামে বিভক্ত করে ফেলায়, ইসলামী জ্ঞান সমূহ আজ তার সামগ্রিকতা হারিয়ে ফেলেছে এবং মানুষের জীবন থেকে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

আমাদেরকে একটি বিষয় সব স্মরণে রাখতে হবে সেই বিষয়টি হল, প্রতিটি জ্ঞানই তার নিজের যুগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে এবং সেই যুগের সমস্যা সমূহকে সমাধান করাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ সমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে জ্ঞানের বিকাশ সাধন করা প্রয়োজন। এটা সুস্পষ্ট যে, জ্ঞানের মধ্যে যদি বিকাশ না ঘটে, পরিবর্তন না আসে সেই জ্ঞান নস্টালজিকে পরিণত হয় এবং কোন সমস্যারই সমাধান করতে সক্ষম হয় না। আমরা জানি যে কয়েক শতাব্দী ধরে এমন অনেক সমস্যা আমাদের সামনে পুঞ্জিভূত হয়ে আছে যার সমাধান আমরা এখনো দিতে সক্ষম হয়নি। এই সকল সমস্যার সমাধানের জন্য জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইহইয়ার প্রয়োজন ।

ফলশ্রুতিতে ইসলামী জ্ঞান অতীতে যেমন সকল ধরণের চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে জীবনের কেন্দ্রে থেকে নিজেকে বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছিল তেমনিভাবে বর্তমান সময়েও জীবনের সাথে নিজের সম্পর্ককে ছিন্ন না করে, সামগ্রিকতাকে না হারিয়ে নিজেকে নতুন করে ইহইয়া (পুনরুজ্জীবিত) করার সম্ভাবনাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে আছে। এই ক্ষেত্রে প্রথমত জ্ঞানের শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে এবং সকল জ্ঞানের মেথডোলজি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। এই ইহইয়া প্রক্রিয়ায় জ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ককে ধরতে পারা এবং ইন্টারডিসিপ্লিনার মেথডোলজিকে কার্যকর রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই কেবল এই বৃহৎ চিত্রকে দেখা সম্ভব হবে এবং ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে কোন পয়েন্টের কোন ধরণের ইহইয়ার প্রয়োজন সেটাকেও নির্ণয় করা সম্ভবপর হবে। অধিকন্তু আমাদের উৎপাদিত জ্ঞান কোন কাজে লাগবে, কোন সমস্যার সমাধান করবে এটা পর্যবেক্ষণ সম্ভবপর হবে।

অবশেষে ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণ দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য হল→

১। আমাদের জ্ঞানের অতীত মিরাসকে বর্তমানে নিয়ে আসা, এমনকি ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকটেও হস্তান্তর করার জন্য এই ঐতিহাসিক মিরাসের সঙ্গে সঠিক ও শক্তিশালী একটি সম্পর্ক তৈরি করা এবং অতীতকে বুঝার জন্য একটি উসূল দাঁড় করানো।

২। বর্তমান সময়ের সমস্যা সমূহের সমাধানের ক্ষেত্রে এই মিরাস থেকে উপকৃত হওয়া এবং বর্তমান সময়ের বিষয়াবলী প্রয়োগ করার মত একটি মেথডোলজির বিকাশ ঘটানো।

৩। অতীতের প্রতিটি জ্ঞানই তাদের নিজের যুগের সমাধান কল্পে কাজ করেছে এবং সেই অনুযায়ী সমাধান দিয়েছে এই উপলব্ধিকে সামনে রেখে আজকের যুগের চাহিদাকে সামনে রেখে কালাম ও ফিকহকে নতুন করে লেখা। অন্য কথায় বলতে গেলে আমাদের অতীত মিরাসকে যুগোপযোগী করা।

উসূলের ক্ষেত্রে ইসলাহ বা সংশোধন

দ্বীনের হুকুম আহকামকে উদ্ভাবন করার জন্য এবং নস সমূহকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে মানুষের আকল কতটুকু স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে পারবে এর সীমানা রেখা নির্ধারণ করার চেষ্টা করে ইলমূল উসূল। এই সীমানাকে যেমন অনেকেই খুব সংকীর্ণ করে রেখেছেন আবার অনেকেই মানুষের, ভাষার এবং নসের প্রকৃতিকে বিবেচনায় নিয়ে এটাকে বিস্তৃত করেও রেখেছেন। এই কারণে উসূলের ধারার মধ্যে শুধুমাত্র একটি ধারাই নয় হয়ত অনেক ভিন্ন ধরণের ধারা সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা সম্ভব। ইলমুল উসূল, ফিকহ তৈরি করার জন্য একটি ডিসিপ্লিন হিসেবে উদ্ভাবিত হয়নি। এই কারণে উসূলের নিয়ম কানুন সমূহ ফিকহ শাস্ত্রের পরে উদ্ভাবিত হয়েছে। জ্ঞানের এই শাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ সমূহ রচিত হয়েছে হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে। তবে এর অর্থ এটা নয় যে এর পূর্বে উসূল সম্পর্কিত কোন চিন্তা ছিল না। প্রথম ৩ শতাব্দীতে ইজতিহাদের উদ্ভাবিত ফিকহি আহকাম সমূহ পরবর্তীতে উসূলের গ্রন্থ সমূহে সমৃদ্ধ করে মেথডোলজিক্যাল নিয়মনীতি সমূহের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয়।

মুসলিম উম্মাহ আধুনিক যুগে প্রবেশ করলে এর অনেক ক্ষেত্রই আধুনিক চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে। ধর্মীয় চিন্তার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমূহ সামনে আসে, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় অপ্রতিরোধ্য বিশাল পরিবর্তন সমূহকে প্রতিরোধ করতে না পেরে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এবং ইসলামের স্থায়ী মূলনীতি সমূহের আলোকে গ্রহণযোগ্য একটি জমিনের মধ্যে পরিচালিত করার।

ফিকহের হুকুম আহকাম সমূহ যে সমাজ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল সেই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক এই সংকটপূর্ণ সময়ের মোকাবেলায় ফিকহের হুকুম আহকামে পরিবর্তনের আবেদন আসতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে থেকে নতুন নতুন সমস্যা সমূহের সমাধানের জন্য নতুন একটি মেথডোলজি চালু করা হয়। যাতে করে এই মেথডোলজি উসূলে ফিকহকে নতুন নতুন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে।

ইজতিহাদের আহবানের প্রেক্ষিতে নবগঠিত এই মেথডোলজি উম্মাহকে নতুন করে নাড়া দেয়। কিন্তু যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে উসূলে ফিকহ তৈরি করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় এই প্রকল্প তার প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য এইবার উসূলে ফিকহকে নবায়ন করার চেষ্টা করা হয়। অন্য কথায় বলতে গেলে উসূলে ফিকহকে এমন একটি মেথডোলজিতে পরিণত করা যেন তা নতুন নতুন সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু দেখা যায় যে উসূলে ফিকহের মূল ধারা ও পদ্ধতি এমন যে এতে কোন ধরণের নবায়ন সম্ভব নয়।

অন্য কথায় বলতে গেলে উসূলে ফিকহকে শুধুমাত্র নস থেকে হুকুম বের করার পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করায় এই বিশাল পরিবর্তনের সময়কালকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি এবং ইসলামের স্থায়ী মূলনীতি সমূহের আলোকে গ্রহণযোগ্য একটি জমিনে পরিচালনা করাও সম্ভবপর হয়নি। যারা বর্তমান সময়ের সমস্যা সমূহকে সমাধানের জন্য উসূলকে নবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা যখন দেখতে পেলেন ইলমুল উসূল তার এই অবস্থা নিয়ে নতুন সমস্যা সমূহকে সমাধানের উপযোগী নয়, তখন উসূলের বাহিরে গিয়ে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হয়। চৌদ্দশত বছর ধরে চলে আসা দলীল ও মূল্যবোধের সিস্টেম এবং ক্রমধারাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় এবং ধর্মীয় চিন্তায় উসূলবিহীনতা আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।

এই সকল কারণ সমূহ উসূলের ক্ষেত্রে একটি ইসলাহ (সংশোধন) এর প্রেক্ষাপটকে সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা সমূহের সমাধান করতে পারবে এবং ইসলামী চিন্তার ক্ষেত্রে সামগ্রিক একটি দৃষ্টিভঙ্গী দাঁড় করানোর জন্য উসূল ও মেথডোলজির সমস্যাকে সমাধান করা সময়ের দাবী। আমাদের উসূলে ফিকহ বায়ান ও কিয়াস ভিত্তিক ইজতিহাদ হওয়ায় বর্তমান সময়ের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই উসূলে ফিকহের মূল বিষয় সমূহকে সংরক্ষণ করে ও মাকাসিদের চিন্তাকে শক্তিশালী করে ইসতিসলাহের ইজতিহাদের বিকাশ সাধন করা দরকার। শুধু তাই নয় মাকাসিদকে জ্ঞানের স্বতন্ত্র একটি শাখা হিসেবে নতুন করে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

আখলাকের ক্ষেত্রে নতুন করে বিনির্মাণ

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে জ্ঞান শুধুমাত্র তথ্য উপাত্তে, এই তথ্য উপাত্ত আবার বিনোদনের সেক্টরে পরিণত হয়েছে এবং যত দিন যাচ্ছে সমগ্র দুনিয়া যেন ইনফরম্যাটিক এক মূর্খতায় ছেয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানের আখলাক নিয়ে আলোচনা বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে অনেক বেশী জ্ঞানী হওয়া মানেই অনেক বেশী আখলাক সম্পন্ন ও মর্যাদাবান হওয়া বুঝায় না। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আকলের মত একটি নিয়ামত খারাপ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অনেক উদাহরণ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিগত শতাব্দীতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা শান্তি নয়, যুদ্ধ ও সন্ত্রাস ডেকে এনেছে। এর পাশাপাশি ভোগের প্রবণতা, স্বার্থপরতা এবং লালসতার সীমানা যেন ছাড়িয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে আখলাক বিহীন জ্ঞান-বিজ্ঞান মানুষকে কতটা সুখ ও শান্তি দিতে সক্ষম এটা নতুন করে ভেবে দেখা প্রয়োজন।

এখানে কষ্টের বিষয় হল এগুলো শুধুমাত্র পাশ্চাত্যের সেকুলার জ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, দ্বীনী জ্ঞানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য হয়ে যাওয়া! যেখানে দ্বীনী জ্ঞানের উদ্দেশ্যই হল আখলাক ও মূল্যবোধ তৈরি করা। অতীতের তুলনায় ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি, ধর্মীয় ধারার প্রকাশনা ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও সমাজে ও ব্যক্তিজীবনে এর প্রভাব কতটুকু পড়ছে সেটা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এই সকল বিষয় বাড়লেও আমাদের সমাজের আখলাকী অবস্থা আজ কেন তলানীতে অবস্থান করছে? আমরা জানি যে অর্থহীন, ফায়দাহীন এবং বেহুদা বিতর্ক একটি সমাজ ও সভ্যতার পতন ডেকে আনে। দ্বীনের শাখা প্রশাখা সমূহ নিয়ে অযথা বিতর্ক মানুষের আখলাকী ও নৈতিক মান উন্নয়নে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না।

প্রতিটি দ্বীনী হুকুমেরই একটি ফিকহী দিক এবং একটি আখলাকী দিক রয়েছে। ফিকহী দিকটি মানুষের বাহ্যিক জগত এবং আখলাকী দিক মানুষের অভ্যন্তরীণ জগতকে বিনির্মাণ করে থাকে। ইলমুল উসূলের ভাষায় ফিকহী দিকটি ইল্লতের উপর আর আখলাকী দিকটি গায়রে (উদ্দেশ্য) ইল্লেতের উপর নির্ভর করে থাকে। এই অর্থে আখলাক হল উদ্দেশ্য, ফিকহ হল ওসিলা। ওসিলা ছাড়া উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে পারে না। তবে উদ্দেশ্য যদি হারিয়ে যায় তাহলে ওসিলা কোন অর্থ বহন করে না।

অপরদিকে আখলাকের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হল ইখতিলাফ আখলাক। মাকসাদ এক হলেও যদি কোন একটি বিষয়ের সমাধানের জন্য ব্যবহৃত পথ এবং পন্থা ভিন্ন হয় তাহলে সেটাকে ইখতিলাফ বলা হয়ে থাকে। মানুষের চিন্তা, সৃজনশীলতা ও বিকাশের জন্য ইখতিলাফ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে যে চিন্তা আকলে সেলিমের বিপরীত এবং উম্মাহকে মেরুকরণের দিকে নিয়ে যায় সেটাকে খিলাফ বলা হয়ে থাকে। ইখতিলাফ হয়ে থাকে ফিকির বা চিন্তার মধ্যে আর খিলাফ হয়ে থাকে ব্যক্তির মধ্যে। ইখতলাফ করা হয়ে থাকে দলীল এবং সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর ভিত্তি করে আর খিলাফ হয়ে থাকে ধারণার উপর ভিত্তি করে।

ফলশ্রুতিতে যে কোন বিষয়ে ইখতিলাফ হতেই পারে এটাকে স্বাভাবিক একটি বিষয় হিসেবে নিতে হবে তবে এই ইখতিলাফ যেন খিলাফে রূপান্তরিত না হয় ও বিভেদ সৃষ্টি না করে সেই দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মতামত দেওয়ার সময় একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে আমি ভুল করতে পারি, তাই আমার মতকে যেন একমাত্র সত্য হিসেবে তুলে না ধরি। আমাদের ব্যক্তিগত তর্ক-বিতর্ককে জ্ঞানগত বিতর্ক হিসেবে তুলে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের সাথে ইখতিলাফ করা হয় সেই সকল ভাইদের নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন না তোলা এবং তাদের নিয়তকে পড়ার চেষ্টা না করা উচিত। এই সকল বিষয়ের চেয়ে যে বিষয়টি জরুরী তা হল বিপরীত পক্ষের কাউকে বিদআতপন্থী ও ভ্রান্ত বলে দোষারোপ না করা এবং কখনোই তাকফির না করা।

উপরে আলোচিত বিষয় সমূহ থেকে এটা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ফিকহকে আখলাক থেকে বিছিন্ন করার ফলে এবং ইখতিলাফের আখলাককে না মানার কারণে বর্তমানে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এখন প্রয়োজন হল আহকাম ও আখলাকের সম্পর্ককে নতুন ভাবে বিশ্লেষণ করা এবং ‘ আখলাক হল আহকামের আকল’ এই মূলনীতিকে সামনে রেখে এই সম্পর্কে নতুন এক মাত্রা যোগ করা। আখলাক ও আহকামের সম্পর্ককে এই দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে বিন্যাস করতে হলে আখলাককে মাকাসিদের একটি মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ফলশ্রুতিতে উসূলে ফিকহের মত আচরণকে আখলাকে রূপান্তরকারী মূল্যবোধের পদ্ধতি ও ক্রমধারাকে নতুন করে বিন্যাস করবে এমন একটি উসূলে আখলাকের বিকাশ সাধন অতীব জরুরী।

আমাদের কাজের ক্ষেত্র সমূহ

[edit]

¤ ইসলামী চিন্তায় মেথডোলজি

¤ ইসলামী জ্ঞানে উসূল

¤ উসূল ও মাকাসিদ

¤ মূল্যবোধ, আখলাক এবং নন্দনতত্ত্ব

¤ রাজনীতি ও অর্থনীতি

¤ সমাজ ও সংস্কৃতি

¤ আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ডি-৮.

কার্যক্রম

[edit]

ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের কার্যাবলীসমূহ দুইটি মৌলিক বিভাগের আলোকে পরিচালিত হয়:

১। একাডেমি বিভাগঃ এই বিভাগ দুইটি কোর্সের মাধ্যমে এবং বিশেষ সিলেবাসের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য অবদান রাখছে।

◆ প্রাথমিক সিলেবাস-

●উসূলুদ্দীন, ●কোরআন ও তাফসীর মেথডোলজি, ●হাদীস বুঝার মেথডোলজ্‌ ●ইসলামী চিন্তা ও দর্শন, ●উসূল ও মাকাসি্‌ ●ইতিহাস দর্শন, ●রাজনীতি ও অর্থনীতি, ●গণিত ও এনালাইটিক্যাল জ্যামিতি, ●বালাগাত ও মানতিক, ●আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ডি-৮, ●আখলাক ও নন্দনতত্ত্ব।

◆ উচ্চতর সিলেবাস-

●উসূল ও মেথডোলিজ , ●উসূল ও মাকাসিদ , ●রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন।

২। গবেষণা বিভাগঃ ইন্সটিটিউটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিভিন্ন প্রজেক্টে সহায়তা করার পাশাপাশি এই ক্ষেত্র সমূহের আধুনিক সমস্যা সমূহের সমাধান তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

[edit]

ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-

১। জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও নবধারার কাগজ এই স্লোগানে ইন্সটিটিউটের ত্রৈমাসিক পত্রিকা মিহওয়ার

২। অনলাইন মুখপাত্র হিসেবে ' চিন্তার বিনির্মাণে ' এই স্লোগানে রোয়াক

৩। অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুসলিম পোর্ট

প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রিকা

[edit]
# বই লেখক প্রকাশকাল গ্রন্থ ক্রয়ের স্থান
প্রফেসর ড. মেহমেদ গরমেজ নভেম্বর,২০২১ মৌলিক ক্রয় করুন
Asad Zaman মার্চ,২০২৩ মৌলিক ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) অক্টোবর ২০২০ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) জানুয়ারি ২০২১ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) এপ্রিল ২০২১ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) ২০২২ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) অক্টোবর ২০২২ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন
হাসান আল ফিরদাউস (সম্পাদক) জানুয়ারি ২০২৪ ত্রৈমাসিক পত্রিকা ক্রয় করুন

বহিঃসংযোগ

[edit]