Draft:Allama Jillur Rahman Ali Shah (RH.)
Draft article not currently submitted for review.
This is a draft Articles for creation (AfC) submission. It is not currently pending review. While there are no deadlines, abandoned drafts may be deleted after six months. To edit the draft click on the "Edit" tab at the top of the window. To be accepted, a draft should:
It is strongly discouraged to write about yourself, your business or employer. If you do so, you must declare it. Where to get help
How to improve a draft
You can also browse Wikipedia:Featured articles and Wikipedia:Good articles to find examples of Wikipedia's best writing on topics similar to your proposed article. Improving your odds of a speedy review To improve your odds of a faster review, tag your draft with relevant WikiProject tags using the button below. This will let reviewers know a new draft has been submitted in their area of interest. For instance, if you wrote about a female astronomer, you would want to add the Biography, Astronomy, and Women scientists tags. Editor resources
Last edited by Qwerfjkl (bot) (talk | contribs) 34 days ago. (Update) |
ভূমিকাঃ
[edit]Muhammad Zillur Rahman Ali Shah (R.H) | |
---|---|
Born | 8 February, 1933 Betagi, Rangunia, Chattogram |
Died | 18 January, 2009 |
Children | Allama Golamur Rahman Ashraf Shah
Allama Ziaur Rahman Ahmad Ullah Abu Shah Muhammad Shah Ahsanullah Muhammad Mahbubur Rahman Muhammad Obidur Rahman |
Parents |
|
বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রাম তথা এই বাংলার জমিনে ইসলামের প্রচার-প্রসারে যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, এক কথায় শরীয়ত ও তরিকতের যথাযথ আঞ্জাম দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে মুর্শিদে বরহক, কুতুবে জমান, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত, হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) অন্যতম। যার ছায়াতলে এসে অগনিত দিশাহারা মানুষ সিরাতুল মোস্তাকিমের পথ খুঁজে পেয়েছেন। সেই সাথে শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত, মারেফতের কার্যক্রম যথাযথ সম্পাদন করে মাযহাব-মিল্লাতকে আরো সুসংহত করেছেন।
জন্ম
[edit]চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানার অন্তর্গত বেতাগী নামক গ্রামে বেতাগী আস্তানা শরীফে ১৯৩৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী এক মোবারক মূহুর্তে মহান আল্লাহর প্রেরিত মাতৃগর্ভজাত এই
ওলীর দুনিয়ার ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে।
শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার পরিচয়
[edit]হুজুর কেবলার সম্মানিত পিতার নাম সৈয়দুল আজম, গাউছে জমান, হযরত মাওলানা হাফেজ ক্বারি শাহ্ মুহাম্মদ বজলুর রহমান মুহাজিরে মাক্কি (রহঃ)। পিতার দিক থেকে তিঁনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী আহমেদ সিরহিন্দ (রাঃ) এর পুত্র হযরত পীর মাসুম শাহ (রহঃ) এর বংশধর, যার রক্তধারা ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ফারুকে আজম হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)'র বংশ থেকে। আর হুজুর কেবলার মাতার নাম সৈয়দা জাফরুন নেসা (রহঃ), যিনি হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর বংশ পরম্পরায় সৈয়দ নাসির উদ্দীন চেরাগ দেহলভী (রাঃ) এবং বাংলার সৈয়দ নাসির উদ্দীন সিপাহ সালার (রাঃ) এর বংশধর। যার বংশধর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাব বাড়ির সন্তান হযরত মাওলানা সৈয়দ আব্দুর রব মক্কী (রাঃ) ছিলেন হুজুর কেবলার নানাজান।
হুজুর কেবলার নাম আলী শাহ্ রাখার হাকীকতঃ
[edit]হুজুর কেবলার নাম আলী শাহ্ রাখা হয় তাঁর জন্মের অনেক পূর্বে। তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা হাফেজ শাহ মোঃ বজলুর রহমান রহ. আজমির শরিফ গিয়েছিলেন হযরত খাজা গরিবে নেয়াযের যিয়ারতে। সেখানে স্বপ্নযোগে তাঁর সাথে সাক্ষাত হয় মাওলায়ে কায়েনাত শে'রে খোদা হযরত আলি (রাদি.) এর সাথে। সালাম কালাম শেষে মাওলা আলি রাদি. তাঁকে একজন পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দেন এবং তাঁর নামে (আলির নামে) নাম রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন। যার প্রভাবে হুজুর কেবলা আল্লামা জিল্লুর রহমান আলী শাহ রাহ. এর স্বভাব-চরিত্র বেশির ভাগই হযরত আলী (রাঃ) এর স্বভাব-চরিত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল।
শিক্ষা জীবনঃ
[edit]পিতৃ-মাতৃহারা শিশু হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) আরবি -বাংলা উভয় ক্ষেত্রে সমান পারদর্শী ছিলেন। তিঁনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা রাউজান কদলপুর হামিদিয়া মাদরাসা,পাচলাইশ ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদরাসা এবং রাঙ্গুনিয়া কলেজে অধ্যায়ন করেন।
রিয়াজতঃ
[edit]যুগের এই শ্রেষ্ঠ ওলী হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ্ (রহঃ) নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় সোপর্দ করে দিলেন। সদা-সর্বদা আল্লাহ পাক ও রাসুলে পাক (দঃ) যিকিরে এবং নফল ইবাদতে নিজেকে মশগুল রাখতেন। তরিকতের কার্যক্রম সম্পাদন করা পূর্বক তাঁর পিতার রেখে যাওয়া মুরিদানদের বাড়ি বাড়ি সাইকেল করে গিয়ে খোঁজ খবর নিতেন। আর রাতের বেলায় আল্লাহ পাক ও রাসুলে করিম (দঃ) এর যিকিরে ব্যস্ত থাকতেন।
বায়াত গ্রহণঃ
[edit]হুজুর কেবলার বয়স যখন ১১ বছর তখন তাঁর পিতা প্রখ্যাত পীরে দস্তগীর হাফেজ হাকিম হযরত মাওলানা মুহাম্মদ বজলুর রহমান (রাঃ) কর্তৃক সকলের সম্মুখে খেলাফত প্রাপ্ত হন।এছাড়া তিঁনি তাঁর পিতার নির্দেশে রাসুলে করিম (দঃ)'র ৪৮তম আওলাদ শামসুল ওলামা দাদাজী হযরত মোল্লা শফিউল্লাহ (রাঃ) এর সুযোগ্য পুত্র মাওলানা হযরত আবদুল গফুর শাহ্ (রহঃ) এর নিকট যান এবং তাঁর নিকট থেকে খেলাফত প্রাপ্ত হন।
তাছাড়াও তিনি তার পিতার পীর সাহেব কেবলা ঢাকাস্থ মশুরিখোলা দরবার শরীফের হজরত কেবলা শাহ্ আহছানউল্লাহ্ (রাঃ)'র নিকট হতেও রুহানি ফয়েজ প্রাপ্ত হন। যার ব্যাপারে বলতে গিয়ে হযরত মাওলানা মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) বলেন, স্বাভাবিক মানুষ যেমন একে অন্যের সাথে কথা বলে, ঠিক তেমনি হযরত কেবলার সাথে আমার কথোপকথন হয়।
স্বভাব-চরিত্রঃ
[edit]কুতুবে জমান হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) এর স্বভাব চরিত্র ছিলো অত্যন্ত মাধুর্যপূর্ণ। তাঁর জীবনে অহংকার এবং আমিত্ব বলতে কিছুই ছিলো না। সকলের প্রাপ্ত মান-মর্যাদার প্রতি সবসময় সজাগ দৃষ্টি থাকতো। আর হুজুর কেবলা বড়-ছোট সকলের সাথে কথা বলার সময় সদা-সর্বদা অত্যন্ত নম্র ভাষায় এবং সু-মিষ্ট ভাষায় কথা বলতেন। আর সেই সাথে ভক্ত-মুরীদানদের প্রতি সবসময় সজাগ দৃষ্টিপাত থাকতো। তিনি বলতেন, পীর-মুরিদ যদি দেখা না হয়
ও কথা না হয় এবং মুরিদানদের দুঃখ-কস্ট যদি পীর না শুনে তবে কেমন পীর-মুরিদের সম্পর্ক ?
সন্তানঃ
[edit]কুতুবে যমান, মুরশিদে বরহক, হযরত আল্লামা জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) এর ৫ জন শাহজাদা রয়েছেন।
১। রাহবার এ মিল্লাত, হযরত আল্লামা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ (মাঃজিঃআঃ) { দরবারের বর্তমান সাজ্জাদানশীন }
২। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আহমাদ উল্লাহ, আবু শাহ (মাঃজিঃআঃ)
৩। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শাহ আহসানুল্লাহ
৪। মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সফিউল্লাহ
৫। মুহাম্মদ ওবাইদুর রহমান পেঠান শাহ
প্রতিষ্ঠান সমূহঃ
[edit]শিশু বয়স থেকে কুতুবে জমান হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান আলী শাহ (রহঃ) এর একনিষ্ঠ ইচ্ছাশক্তি ছিল দেশ, সমাজ তথা দ্বীনের দাওয়াতসহ মানব কল্যাণে কিছু করা, তারই উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্টান। আর সেই সাথে পুনরায় চালু করেছেন তাঁর পিতার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান। তারই মধ্যে অন্যতম হলোঃ-
১. বেতাগী রহমানিয়া জামেউল উলুম
মাদরাসা।
২. রহমানিয়া হেফাজখানা ও এতিমখানা।
৩. রোটারি বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
৪. ধর্মপুর রহমানিয়া মাদরাসা।
৫. বেতাগী ফোরকানিয়া মাদরাসা সহ অসংখ্য ফোরকানিয়া মাদরাসা।
বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়া প্রতিষ্ঠাঃ
[edit]তিনি ছিলছিলার কার্যক্রম সম্পাদন করার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।আর এ আনজুমান প্রতিষ্ঠার কথা উঠলে মুরিদানদের মধ্যে যাদের না বললেই নয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়ার প্রতিষ্ঠা সেক্রেটারি মরহুম সৈয়দ নিজাম উদ্দিন আহমেদ (নিজাম মাস্টার), পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর উক্ত স্থানের অভাব পূরণে সক্ষম হন পরবর্তী সেক্রেটারি জনাব মরহুম নুর মোহাম্মদ। আল্লাহ পাক উভয়কে হুজুর কেবলার উসিলায় জান্নাতুল ফেরদৌসের অধিকারী করুন, আমিন।
ইন্তেকালঃ
[edit]২০০৯ সালে ১৮ই জানুয়ারি ২০শে মহররম ৫ ই মাঘ রোজ শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিট নগরীর খুলশী থানাস্থ হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ ভক্ত-মুরীদানদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে মওলায়ে হাকিকির দরবারে চলে যান।
References
[edit]https://www.facebook.com/share/p/18eDRQwb4p/